Archive for January, 2012

হে ঈমানদারগণ!

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিৎ ঠিক তেমনিভাবে ভয় করতে থাক। এবং অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না। (সুরা আল ইমরান – ১০২)
হে ঈমানদারগণ, তোমরা পবিত্র বস্তু সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসাবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় কর আল্লাহর, যদি তোমরা তাঁরই বন্দেগী কর। (সুরা বাকারা- ১৭২)
হে ঈমানদারগণ! আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, সেদিন আসার পূর্বেই তোমরা তা থেকে ব্যয় কর, যাতে না আছে বেচা-কেনা, না আছে সুপারিশ কিংবা বন্ধুত্ব। আর কাফেররাই হলো প্রকৃত যালেম। (সুরা বাকারা–২৫৪)
হে ঈমানদারগণ তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করতে থাক, তবে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন এবং তোমাদের থেকে তোমাদের পাপকে সরিয়ে দেবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করবেন। বস্তুতঃ আল্লাহর অনুগ্রহ অত্যন্ত মহান। (আনফাল-২৯)
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প। (সূরা তওবা-৩৮)
হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে। যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ কখনও পবিত্র হতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন। আল্লাহ সবকিছু শোনেন, জানেন। (সুরা নুর -২১)
হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর উপর পরিপূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন কর এবং বিশ্বাস স্থাপন কর তাঁর রসূলও তাঁর কিতাবের উপর, যা তিনি নাযিল করেছেন স্বীয় রসূলের উপর এবং সেসমস্ত কিতাবের উপর, যেগুলো নাযিল করা হয়েছিল ইতিপূর্বে। যে আল্লাহর উপর, তাঁর ফেরেশতাদের উপর, তাঁর কিতাব সমূহের উপর এবং রসূলগণের উপর ও কিয়ামতদিনের উপর বিশ্বাস করবে না, সে পথভ্রষ্ট হয়ে বহু দূরে গিয়ে পড়বে। সুরা নিসা-১৩৬)
হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম। (সুরা নিসা-৫৯)
হে ঈমানদারগণ, তোমরা ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থাক; আল্লাহর ওয়াস্তে ন্যায়সঙ্গত সাক্ষ্যদান কর, তাতে তোমাদের নিজের বা পিতা-মাতার অথবা নিকটবর্তী আত্নীয়-স্বজনের যদি ক্ষতি হয় তবুও। কেউ যদি ধনী কিংবা দরিদ্র হয়, তবে আল্লাহ তাদের শুভাকাঙ্খী তোমাদের চাইতে বেশী। অতএব, তোমরা বিচার করতে গিয়ে রিপুর কামনা-বাসনার অনুসরণ করো না। আর যদি তোমরা ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বল কিংবা পাশ কাটিয়ে যাও, তবে আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় কাজ কর্ম সম্পর্কেই অবগত।(সুরা নিসা-১৩৫)

Partial post from Jahid Shohag

নিন্দে পরচর্চা গীবত

পরনিন্দা সম্পর্কে মহান রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেন- ‘তোমাদের মধ্যে কেউ যেন পরনিন্দায় লিপ্ত না হয়। তোমাদের কেউ কি মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া পছন্দ করবে।
গীবতের সবচেয়ে উত্তম ও বাস্তবসম্মত ও চিত্তাকর্ষক সংজ্ঞা দিয়েছেন রাসূল সাঃ, যা নিম্মোক্ত হাদিস থেকে পেতে পারি।হজরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসূল সাঃ বলেছেন, গীবত কাকে বলে, তোমরা জান কি? সাহাবিগণ বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সঃ-ই ভালো জানেন। তিনি বললেন, তোমার কোনো ভাই (দীনি) সম্পর্কে এমন কথা বলা, যা সে অপছন্দ করে, তা-ই গীবত। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল সাঃ আমি যে দোষের কথা বলি তা যদি আমার ভাইয়ের মধ্যে থাকে তাও কি গীবত হবে? উত্তরে রাসূল সাঃ বললেন, তুমি যে দোষের কথা বল, তা যদি তোমার ভাইয়ের থাকে তবে তুমি অবশ্যই তার গীবত করলে আর তুমি যা বলছ তা যদি তার মধ্যে না থাকে তবে তুমি তার ওপর মিথ্যা অপবাদ দিয়েছ। (মুসলিম)
গীবত ইসলামী শরিয়তে হারাম তথা কবিরা গুনাহ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘ধ্বংস তাদের জন্য, যারা অগ্র-পশ্চাতে দোষ বলে বেড়ায়।’ (সূরা হুমাজাহ-১)
হজরত আবু সায়িদ ও জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সঃ বলেছেন, ‘গীবত ব্যাভিচারের চেয়েও মারাত্মক ও গুনাহ। সাহাবায়ে কেরাম আরজ করলেন, এটা কিভাবে? তিনি বললেন, এক ব্যক্তি ব্যভিচার করার পর তওবা করলে তার গোনাহ মাফ হয়ে যায়। কিন্তু গীবত যে করে তার গোনাহ প্রতিপক্ষের ক্ষমা না করা পর্যন্ত মাফ হয় না।’
গীবত কেবল মুখ দ্বারাই হয় না। চক্ষু, হাত এবং ইঙ্গিত দ্বারাও গীবত হয়ে থাকে। সব ধরনের গীবতই হারাম। হযরত আয়েশা (রা.)-বলেন, ‘আমি একদিন হযরতের নিকট ইশারায় প্রকাশ করেছিলাম যে, অমুক মহিলা বেটে। নবী করিম (সা.)-বললেন,হে আয়েশা তুমি গীবত করলে।’ গীবত করা যেমন নিষেধ তেমনি গীবত শোনাও নিষেধ। যে গীবত শুনে, সেও গীবতের পাপের অংশীদার হয়ে যায়।
নবী করীম (সা.) বলেছেন,‘আল্লাহ মুসলিমের রক্ত, ধনসম্পদ ও তার প্রতি মন্দ ধারণা পোষণ করাকে হারাম করেছেন।’
গীবতের পরিণাম সম্পর্কে নবী করীম (সা.) আরো বলেছেন, ‘আগুন যেমন শুকনো কাঠ জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে ফেলে, গীবতও তদ্রূপ মানুষের সওয়াবসমূহ ধ্বংস করে ফেলে।’
বাঁচার কিছু উপায় ও প্রতিষেধক
ইমাম গাযযালী (রহ.)-তার রচিত কিমিয়ায়ে সাআদাত নামক গ্রন্থে গীবত থেকে বাঁচার কিছু উপায় ও প্রতিষেধক বর্ণনা করেছেন। তিনি গীবতকে একটি রোগ বা অসুখ বলে আখ্যায়িত করে এ রোগের জ্ঞানমূলক ও অনুষ্ঠানমূলক দু’টি ওষুধের কথা বলেছেন- জ্ঞানমূলক ওষুধ হচ্ছে-
প্রথমত পবিত্র কুরআন ও হাদীসে গীবতের ক্ষতি ও অনিষ্ট সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তার মর্ম উপলব্ধি করে তার ওপর দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস স্থাপন করা।
দ্বিতীয়ত নিজের দোষ অনুসন্ধান করা। নিজের দোষ বের হওয়ার পর মনে করতে হবে, আমার ন্যায় অন্যেরও দোষ থাকা অসম্ভব নয়। নিজে যেহেতু দোষ থেকে বাঁচতে পারিনি, সেহেতু অন্যের দোষ দেখে এতো বিস্মিত হওয়ার কি আছে?
অনুষ্ঠানমূলক ওষুধ হচ্ছে- মানুষ যেসব কারণে গীবত করে তার প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। মানুষ যেসব কারণে গীবত করে ইমাম গাযযালী (রহ.) এর সংখ্যা আটটি উল্লেখ করেছেন। যথা-
(১) ক্রোধ, কেউ কারো প্রতি ক্রোধাম্বিত হলে সে তার গীবতে লিপ্ত হয়। সুতরাং ক্রোধ দমন করলেই এসব গীবত থেকে বাঁচা যায়।
(২) কারো সন্তুষ্টি লাভের জন্য ঐ ব্যক্তির শত্রম্নদের গীবত করা হয়। এ অবস্থায় মনে করতে হবে কোনো মানুষের সন্তুষ্টি লাভের জন্য আল্লাহতা’আলার অসন্তুষ্টি অর্জন করা নির্বুদ্ধিতা ও মূর্খতা ছাড়া আর কিছু নয়।
(৩) নিজের দোষ হতে অব্যাহতি লাভের জন্য অপরের দোষ উদঘাটন,নিজের দোষ ঢাকার জন্য অপরের দোষ প্রকাশ করে আল্লাহতা’আলার অসন্তুষ্টি অর্জন করা কখনো সঙ্গত হতে পারে না। এটা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
(৪),আত্মপ্রশংসা। নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশের জন্য অন্যের নিন্দা করা। অনেকে নিজেকে জ্ঞানী হিসাবে উপস্থাপনের জন্য বলে থাকে, অমুকে এ ব্যাপারে কিছুই বোঝে না। এসব উক্তিতে মূর্খ ও দুর্বলেরা তার ভক্ত হলেও জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানেরা তার ভক্ত হয় না। মূর্খ ও দুর্বলদের কাছে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব জাহির করার জন্য পরম পরাক্রমশালী আল্লাহতা’আলার বিরাগভাজন হওয়া কোনো বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
(৫) ঈর্ষা। নিজের যোগ্যতা দিয়ে যারা মান-সম্মান অর্জন করেছে,ঈর্ষাপরায়ণ ব্যক্তির কাছে তা সহ্য হয় না। কারণে-অকারণে সে ঐ সম্মানিত ব্যক্তির দোষ অম্বেষণ করতে থাকে এবং ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়। এসব ব্যক্তি দুনিয়াতে ঈর্ষার অনলে দগ্ধ হয়, আর আখিরাতে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হয়। হিংসুকের হিংসায় সম্মানিত ব্যক্তির সম্মান এতোটুকুও লাঘব হয় না। ক্ষতি হিংসুকেরই হয়।
(৬) উপহাস ও ঠাট্টা-বিদ্রূপ। অনেক সময় মানুষ মজা করা কিংবা অন্যকে অপদস্থ করার উদ্দেশ্যে তার ক্রিয়াকলাপ নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ ও উপহাসে মত্ত হয়। উপহাসকারী যদি বুঝত যে তার এই উপহাস তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তা হলে সে উপহাসকারী না হয়ে উপহাস্যাস্পদ হওয়ার প্রত্যাশা করতো, কেননা হাশরের দিন উপহাস্যাস্পদের পাপের বোঝা উপহাসকারীর কাঁধে চড়িয়ে দেয়া হবে।
(৭)-অসতর্কতা। অনেক সময় পরহেজগার ব্যক্তিরাও পাপের আলোচনা করতে গিয়ে পাপীর নামও উল্লেখ করে ফেলেন। লক্ষ্য করেন না যে, এটা গীবতের মধ্যে গণ্য হয়ে যায়। সুতরাং পাপাচার নিয়ে আলোচনা করার সময় সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কখনো কারো নাম উচ্চারিত না হয় এবং কারো প্রতি ইঙ্গিত করা না হয়।
(৮)- মূর্খতা। মূর্খতা মানুষের জন্য বড় অভিশাপ। অনেকে জানেই না যে, কোন্ কথা গীবতের মধ্যে পড়ে, আর কোন্ কথা গীবতের মধ্যে পড়ে না কিংবা পাপ নিয়ে আলোচনার সময় পাপীর নাম নিলে গীবত হয়ে যায়। তবে অনিষ্টকর ব্যক্তির ক্ষতি হতে জনসাধারণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে অনিষ্টকারীর নাম নেয়া বৈধ। এটা গীবতের মধ্যে পড়ে না। অনুরূপভাবে বিচারকের সামনে সাক্ষী হিসাবে পাপীর নাম নেয়া গীবত নয়। যারা প্রকাশ্যভাবে পাপ করে এবং পাপকে দোষের মনে করে না তাদের নাম নেয়া গীবত নয়।
শেখ সাদী (রহ•) বলেছেন, তোমার পূর্ব-পুরুষ কোন এক কালে শাহী দরবারের ঝাড়-দার ছিল কি না সেটা বড় কথা নয়, তুমি কি সেটাই হচ্ছে বড় পরিচয়।

গীবত থেকে বেঁচে থাকা অত্যন্ত জরুরি। এ থেকে বাঁচার জন্যক্স আমদের অপরের কল্যাণ কামনা করতে হবে। কেননা, রাসূল সাঃ বলেছেন, ‘দীন হচ্ছে নিছক কল্যাণ কামনা করা।’ আত্মত্যাগ করতে হবে অর্থাৎ যেকোনো প্রয়োজনে অপর ভাইকে অগ্রাধিকার দেয়া। যেমন আল্লাহ সূরা হাশরের ৯ নম্বর আয়াতে এরশাদ করেছেন, ‘তারা নিজের ওপর অন্যদের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেয়, যদিও তারা অনটনের মধ্যে থাকে।’ অপরের অপরাধকে ক্ষমা করে দেয়ার চেষ্টা করতে হবে।জিহ্বাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সর্বাগ্রে। রাসূল সঃ বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমার জন্য তার জিহ্বা ও লজ্জাস্থানের জিম্মাদার হবে, আমি তার জন্য জান্নাতের জিম্মাদার হবো।’ (বুখারি)

Edited from
http://bograexpress.wordpress.com
মাওলানা শাহ আবদুস সাত্তার and some other mixed articles

রাষ্ট্র পরিচালনায় মহানবী (সা•)

কখন কিভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রের উৎপত্তি ও আবির্ভাব ঘটে, সে বিষয়টি অদ্যাবধি অমীমাংসিত রয়ে গেলেও এ বিষয়ে সকল রাষ্ট্রবিজ্ঞানী একমত যে, মানব সমাজের বৃহত্তর প্রয়োজনেই রাষ্ট্রযন্ত্রের উদ্‌ভব। সর্বকালের সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ রাসূল হযরত মহাম্মদ (সা•) মদীনা সনদের আলোকে মদীনাতে যে ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন, মানব জাতির ইতিহাসে এবং রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ইতিহাসে তা সর্বোত্তম জনকল্যাণমূলক আদর্শ রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করে। একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে সেখানে সামাজিক সুবিচার ও অর্থনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠা করা নিঃসন্দেহে মহানবী (সা•)-এর জীবনের এক চূড়ান্ত সফলতা। হযরত মুহাম্মদ (সা•) ছিলেন একজন আদর্শ রাজনীতিবিদ, আদর্শ সমাজ সংস্কারক এবং সর্বকালের, সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক।

বিখ্যাত পণ্ডিত জর্জ বার্নার্ড শ’ যথার্থই বলেছেন,
যদি গোটা বিশ্বের বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায়, আদর্শ ও মতবাদ সম্পন্ন মানব জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এক নায়কের শাসনাধীনে আনা হত, তাহলে একমাত্র মুহাম্মদ (সা•)-ই সর্বাপেক্ষা সুযোগ্য নেতা হিসেবে তাদেরকে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হতেন।

Who is George Bernard Shaw?

Sir George Bernard Shaw (26 July 1856 – 2 November 1950) was an Irish, born in Dublin. Shaw was a talent, distinguished, honored and creative author. He is the first person to have been awarded both a Nobel Prize for Literature (1925) and an Oscar. Shaw wanted to refuse his Nobel Prize outright because he had no desire for public honors, but accepted it at his wife’s behest: she considered it a tribute to Ireland.

What George Bernard Shaw said about Muhammad?

“I have always held the religion of Muhammad in high estimation because of its wonderful vitality. It is the only religion which appears to me to possess that assimilating capacity to the changing phase of existence which can make itself appeal to every age. I have studied him – the wonderful man and in my opinion far from being an anti-Christ, he must be called the Saviour of Humanity. I believe that if a man like him were to assume the dictatorship of the modern world, he would succeed in solving its problems in a way that would bring it the much needed peace and happiness: I have prophesied about the faith of Muhammad that it would be acceptable to the Europe of tomorrow as it is beginning to be acceptable to the Europe of today.”
What George Bernard Shaw said about Islam?
“If any religion had the chance of ruling over England, nay Europe within the next hundred years, it could be Islam.”
Source: Sir George Bernard Shaw in ‘The Genuine Islam,’ Vol. 1, No. 8, 1936.

মহাগ্রন্থ আল-কুরআনের ভাষ্য অনুসারে, তিনি হলেন বিশ্বমানবতার মহান আদর্শ এবং একমাত্র মুক্তির কান্ডারী। সুতরাং রাষ্ট্র পরিচালনাসহ জীবনের সর্বক্ষেত্রে ও সর্ব অবস্থায় তাঁর মহত্তম আদর্শ অনুসরণ করা ব্যতীত অন্য কোন বিকল্প নেই। মহান আল্লাহ্‌ তা’আলা আমাদেরকে সঠিক সত্য উপলব্ধি করে তদনুসারে আমল করার তৌফিক দিন
তথ্য সুত্র প্রফেসরড মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী ও নেট

শিষ্টাচার অহংকার ভাল ও মন্দ

শিষ্টাচার মানুষের শুধু প্রশংসনীয় গুণই নয়; ইহা একটি অত্যাবশ্যকীয় গুণও। শিশু-কিশোর , যুবক-বৃদ্ধ প্রতিটি মানুষের জীবন গড়ার পেছনে কোন অনুকরণীয় ব্যক্তির সান্নিধ্য একান্ত প্রয়োজন। নেক সুহবতের গুরুত্বের বিষয়ে হযরত আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম (সঃ) ইরশাদ করেন,- “সৎ ব্যক্তি ও অসৎ ব্যক্তির সান্নিধ্য আতরবাহী ও হাপরধারীর সংস্পর্শের মত। আতরবাহীর কাছ থেকে ক্রয় করে হোক আর এমনিতেই হোক তুমি সুগন্ধি লাভ করবে। পক্ষান্তরে হাপরধারীর কাছে গেলে , হয় তোমার কাপড় পুড়বে, না হয় দুর্গন্ধ পেতে হবে।” (মুসলিম , ২;৩৩০)
রাসূলে করীম (সঃ) ইরশাদ করেন,- “তোমরা তাকওয়ার মাধ্যমে নিজেদেরকে এবং পরিবার-পরিজনকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও এবং সন্তানদেরকে শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।” (বুখারী শরীফ, ২/৭৩০)

আব্দুলাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেন: যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার রয়েছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। [উপস্থিতদের পক্ষ থেকে] একজন লোক বলে উঠল নিশ্চয় [যে কোন] ব্যক্তি ভালবাসে যে, তার সুন্দর পোষাক এবং সুন্দর জুতা থাকুক। তিনি (সাঃ) বলেন নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা সুন্দর [এবং] সুন্দরকে তিনি ভালবাসেন। অহংকার হচ্ছে- সত্যকে অস্বীকার করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা। (মুসলিম)
“নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহান প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেন: তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ভাল ও মন্দ উভয়টিকে লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর তিনি এভাবে বর্ণনা করেছেন : ‘যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজ করার ইচ্ছা করে অথচ তা এখনও বাস্তবে পরিণত করেনি, তার জন্য আল্লাহ নিজের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ সওয়াব লিপিবদ্ধ করেন।” [বুখারী ৬০১০, মুসলিম ১৮৭ (২৪৬)]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের (দোষ) গোপন রাখবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার (দোষ) গোপন রাখবেন। ”[ বুখারী- ২২৬২, মুসলিম – ৪৬৭৭ ]
আমরা যেন শিষ্টাচার মেনে চলতে পারি, অহংকার ত্যাগ করতে পারি, ভাল ও মন্দ চিহ্নিত করতে পারি আর ফাইনালি অন্যের দোষ ঢেকে রাখার মত কঠিন কাজ করতে পারি
আল্লাহ সবাইকে সঠিক পথে চলার সুযোগ দান করুন।
আমিন।

তথ্যসূত্র -নেট

দ্রুতির প্রবণতা

মানুষ, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে দ্রুতির প্রবণতা অন্তর্নিহিত। অবশ্য এটি আমাদের যুগের বৈশিষ্ট্য। এ জন্য আজ ফসল বুনে কালই তা কাটতে চায়। কিন্তু আল্লাহর সৃষ্টিরীতি অনুযায়ী এ রূপ দ্রুতির কোনো অবকাশ নেই। গাছ থেকে ফল আহরণ করতে হলে এর পর্যায়ক্রম অতিক্রম করতে দিতে হবে। মানুষের সৃষ্টি তো এর প্রকৃষ্ট নজির।
কুরআন বলছে¬ ‘অতঃপর আমি শুক্রকে পরিণত করি রক্তপিণ্ডে, তারপর রক্তপিণ্ডকে পরিণত করি মাংসপিণ্ডে, তারপর মাংসপিণ্ডকে পরিণত করি অস্থিপঞ্জরে, পরে অস্থিপঞ্জরকে মাংসে আবৃত করে দিই; অবশেষে তাকে গড়ে তুলি অন্য এক সৃষ্টিরূপে। অতএব সর্বোত্তম স্রষ্টা আল্লাহ কত মহান!’ (২৩ঃ১৪)
এমনভাবে মানুষও শিশু থেকে পর্যায়ক্রমে প্রাপ্তবয়স্কে পরিণত হয়। একইভাবে আল্লাহর সুনান অনুযায়ী মানুষের জীবনও বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে। কুরআন বলছে ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা নিজেরা পরিবর্তন করে।’ (১৩ঃ১১) এবং ‘কারণ, আল্লাহ কোনো সম্প্রদায়কে প্রদত্ত সৌভাগ্য পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজেরাই পরিবর্তিত করে দেয় নিজের জন্য নির্ধারিত বিষয়।’ (৮ঃ৫৩)
অনুরূপভাবে আল্লাহর দীন বিভিন্ন স্তর অতিক্রম করে অবশেষে পূর্ণতাপ্রাপ্ত হয়েছে। তখন এই আয়াত নাজিল হয়েছে¬ ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দীন পূর্ণাঙ্গ করলাম, তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম, এই ইসলামকেই তোমাদের দীন মনোনীত করলাম।’ (৫ঃ৩)

লেখকঃ মিসরীয় বিখ্যাত পণ্ডিত ড. ইউসুফ আল কারজাভি