Archive for March, 2012

আল্লাহর বিধান অলংঘনীয়

মানুষ সৃষ্টির পর মহান আল্লাহতাআলা অন্যসব সৃষ্টিকে তার কল্যাণে নিয়াজিত হওয়ার আদেশ দেন। মানবজাতির আদি পিতা হযরত আদম (আ:)কে সৃষ্টি করে ফেরেশতাদের তাঁকে সম্মান জানাতে নির্দেশ দান করেন এবং মানুষকে চিরদিনের জন্য সম্মানের দিক দিয়ে ফেরেশতাদের ঊর্ধ্বে রাখেন।
অত:পর মানবজাতির প্রতি মহান আল্লাহতা’আলা এমন এক নির্দেশ দান করেন যে, যারা আমার বিধান (আইন-কানুন) মেনে চলবে, পৃথিবীতে তাদের কোনো প্রকার দু:খ-কষ্ট ও অশান্তি হবে না। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, ‘অত:পর যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট কোনো হেদায়েত (পথ নির্দেশনা) আসবে, তখন যারা আমার হেদায়েত মত চলবে তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা দু:খিত হবে না।’ (সূরা বাকারা-৩৮)
বিশ্বে শান্তির প্রয়াসে মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর মহান বাণীসমূহে নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে সংমিশন্সণ করো না এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করো না।
(সূরা বাকারা-৪২)
এবং তোমরা একে-অন্যের ধন সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না এবং মানুষের ধন সম্পদের কিয়দংশ জেনে-শুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে বিচারকগণকে উৎকোচ (ঘুষ) দিও না। (বাকারা-১৮৮)
তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাকো, তিনি সীমালংঘনকারীদের পছন্দ করেন না। পৃথিবীতে শান্তি স্খাপনের পর ওতে তোমরা বিশৃংখলা সৃষ্টি করো না। তাকে (আল্লাহকে) ভয় ও আশার সঙ্গে ডাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহর অনুগ্রহ সৎকর্ম পরায়ণদের নিকটবর্তী।’ (সূরা আ’রাফ-৫৫-৫৬)
‘আল্লাহ যা তোমাকে দিয়েছেন তা দিয়ে পরকালের কল্যাণ সন্ধান কর। ইহকালে তোমার বৈধ সম্ভোগকে তুমি উপেক্ষা করে না। তুমি সদাশয় হও, যেমন আল্লাহ তোমার প্রতি সদাশয় এবং পৃথিবীতে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে চেয়ো না। আল্লাহ অবশ্যই বিশৃংখলা সৃষ্টিকারীদেরকে ভালবাসেন না। (সূরা কাসাস-৭৭)

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নির্দেশ-‘আল্লাহ অবশ্যই ন্যায় পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয় স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসৎকার্য ও সীমালংঘন নিষেধ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করো। তোমরা আল্লাহর
নামে অঙ্গীকার করলে (ওয়াদা) অঙ্গীকার পূর্ণ করো এবং তোমরা আল্লাহকে তোমাদের জামিন করে প্রতিজ্ঞা দৃঢ় করার পর তা ভঙ্গ করো না। অবশ্যই আল্লাহ তোমরা যা করো তা জানেন। তোমাদের নিকট যা আছে তা থাকবে না এবং আল্লাহর নিকট যা আছে তা স্খায়ী থাকবে। যারা ধৈর্যশীল আল্লাহ নিশ্চয়ই তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার তাদের দান করবেন। বিশবাসী হয়ে পুরুষ ও নারীর মধ্যে যে কেউ সৎ কর্ম করবে তাকে আমি অবশ্যই আনন্দপূর্ণ জীবন দান করবো এবং তাদের কর্মের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার তাদের দান করবো। যারা সাবধানতা অবলম্বন করে এবং যারা সৎকর্মপরায়ণ, আল্লাহ অবশ্যই তাদের সঙ্গে আছেন।
(সূরা নাহল-৯০, ৯১, ৯৬, ৯৭ ও ১২৮ আয়াত)।

সুবিচারের অভাবে অনেক জাতি ও দেশ ধ্বংস হয়েছে। এ সম্পর্কে মহানবী (সা:) এর একটি হাদীস খুবই প্রণিধানযোগ্য। হযরত বরীদাহ (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী করীম (সা:) ইরশাদ করেছেন, তিন প্রকার বিচারক রয়েছে। তন্মধ্যে একজন মাত্র বেহেশতে যেতে পারবে। অপর দু’জন জাহান্নামে যেতে বাধ্য হবে। যে বিচারক বেহেশতে যাবে সে এমন ব্যক্তি, যে প্রকৃত সত্যকে জানতে পেরেছে, অত:পর তদনুযায়ী বিচার ও ফয়সালা করেছে। যে ব্যক্তি প্রকৃত সত্যকে জানতে পেরেও ফয়সালা করবার ব্যাপারে অবিচার ও জুলুম করেছে, সে জাহান্নামে যাবে। আর যে ব্যক্তি অজ্ঞতা সত্ত্বেও জনগণের জন্যে বিচার ফয়সালা করেছে, সেও জাহান্নামী হবে। (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)
অর্থাৎ আল্লাহ অশ্লীলতা, অসৎ কর্ম ও সীমা লংঘন করতে নিষেধ করেছেন। রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেন, জুলুম ব্যতীত এমন কোন গোনাহ নেই যার বিনিময়ও শাস্তি দ্রুত দেয়া হবে। এতে বোঝা যায় যে, জুলুমের কারণে পরকালীন শাস্তি কঠোর তো হবেই এর পূর্বে দুনিয়াতে ও আল্লাহ তা আলা জালেমকে শাস্তি দেন। যদিও সে বুঝতে পারে না যে, এটা অমুক জুলুমের শাস্তি। আল্লাহ তাআলা মজলুমের সাহায্য করারও অঙ্গীকার করেছেন। পৃথিবীতে আল্লাহর বিধান লংঘনীয়। সত্যকে সত্য বলা এবং মিথ্যাকে পরিহার করা ফরজ। ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা এবং অন্যায়ের প্রতিবাদ করাও অবশ্য কর্তব্য। এই যদি মানব জীবনে বাস্তবায়িত হয়, তবে পৃথিবীতে কারো জীবনে দু:খ কষ্ট ও চিন্তা-ভাবনা থাকতে পারে না। সৎকর্মীশীলদের জন্য আল্লাহ তাআলা পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে তাদের আপ্যায়নের জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস, সেখানে তারা চিরস্খায়ী হবে। (সূরা কাহ্ফ-১০৭ আয়াত)
তিনি আরো বলেন, যে সৎকর্ম করে, সে নিজের কল্যাণের জন্যেই তা করে এবং যে মন্দ কাজ করে তার শাস্তি সেই ভোগ করবে। (সূরা হা মীম সাজদা-৪৬) হে মহান রাব্বুল আলামীন, দেশের সকল শ্রেণীর লোকদের ন্যায় বিচারে উদ্বুদ্ধ হয়ে, অন্যায় ও অসৎকর্ম থেকে বিরত থেকে জাতিকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলা ও পরিচালনার শক্তি সামর্থ্য ও সাহসী ভূমিকা পালন করার ইচ্ছা শক্তিদান করুন। আমীন।

Link http://mamunmck.wordpress.com/amarsoggroho/banglakitab/islamijaga/bidanloggonkar/

মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টিকূলের শ্রেষ্ঠ হিসাবে সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহ যেহেতু মানুষকে সেরা হিসাবে সৃষ্টি করেছেন সেহেতু মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই, এটাই স্বাভাবিক। মানুষ শ্রেষ্ঠরূপে পৃথিবীতে আসে ঠিকই তবে এই শ্রেষ্ঠত্ব টিকে থাকে তার কৃতকর্মের উপর। কারণ সৃষ্টির সেবা হিসাবে দুনিয়াতে প্রেরণ করে আল্লাহ সবাইকে দুনিয়া থেকে শ্রেষ্ঠ হিসাবে নিয়ে যাবেন এ ব্যাপারে ওয়াদা করেননি। বরং মহান আল্লাহ তার প্রতি অবিশ্বাস পোষণকারীদের অসম্মান আর অমর্যাদার সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছে দিবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ তা’য়ালা বলেছেন,
‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মানুষকে উত্তম অবয়বে সৃষ্টি করেছেন। এরপর তাকে নামিয়ে দিয়েছেন নিচু থেকে নিচু স্তরে। তারা ব্যতীত যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কর্ম করেছেন’ (সূরা-আতত্বীন)।
এখানে উত্তম অবয়ব বলতে গঠন প্রকৃতি, বুদ্ধিমত্তা, মর্যাদা ও সম্মান ইত্যাদি বিষয়কে বুঝায়। আর নিচু স্তরে নামানো বলতে অসম্মান-অমর্যাদা আর আযাব-গযব তথা ধ্বংসের সবচেয়ে নিচু স্তর বুঝানো হয়েছে। আল্লাহর বাণী অনুসারে মানুষের মর্যাদার একমাত্র মাপকাঠি হলো ঈমান গ্রহণ ও সৎকর্মের অধিকারী হওয়া। এখানে আল্লাহ তা’য়ালা বংশ মর্যাদা, টাকা-পয়সা, ডক্টরেট ডিগ্রি, রাজা-বাদশা হওয়া ইত্যাদিকে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার নিয়ামক ঘোষণা করেননি। পরিতাপের বিষয় আজকে এগুলোকে আমরা মানুষকে মূল্যায়নের নিয়ামক বলে গণ্য করি। যারফলে সৎকর্ম সমাজ থেকে দূরে চলে যায়। মধ্যযুগে বংশ মর্যাদা নিয়ে খুব একটা বাড়াবাড়ি থাকলেও বর্তমানে এর প্রভাব চাপা পড়ে গেছে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কিছুটা, তবে পুরোপুরি নয়। মহানবী (সাঃ) বিদায় হজ্বের ভাষণে বংশ মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে দিয়েছেন। ইসলামে শুধু একটি ক্ষেত্র ব্যতীত অন্য বিষয়ে বংশ মর্যাদার মূল্যায়ন সম্পর্কে আমার জানা নেই। যে বিষয়ে বংশ মর্যাদার সামান্য আলোকপাত করা হয়েছে তা হলো কোন মুসলমান পাত্র বিবাহের সময় যেন পাত্রীর বংশ মর্যাদার বিষয়টি দেখে। এখানেও বংশ মর্যাদার উপরে দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘বিবাহের সময় কন্যার চারটি বৈশিষ্ট্য দেখতে হবে-(১) কন্যা সুন্দরী হওয়া (২) অর্থ-বিত্তের অধিকারী হওয়া (৩) ভাল বংশের হওয়া (৪) দ্বীনদার হওয়া।’ চারটি বিষয় বলার পর নবী (সাঃ) এক্ষেত্রে দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন। অর্থাৎ মূল্যায়নের মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দিয়ে। মহান আল্লাহর বাণী অনুসারে তারাই শ্রেষ্ঠ যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কর্ম করেছে।

আজ অফিসের ছোট কর্তাকে ঘুষ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে জবাব আসে বড় কর্তায় খায়, আমার না খেয়ে উপায় নেই। ব্যবসায়ীকে সততার কথা বললে জবাব আসে সৎ পথে ব্যবসা করলে চালান টেকানো দায়। আবার কাউকে দেখা যায় অর্থের লোভ চরিতার্থ করার জন্য এহেন কোন অপকর্ম নেই যা সে করতে দ্বিধা করবে না। মোট কথা পাপ ও পাপাচারে বর্তমান জমানা পরিপূর্ণ। এ জমানার ফেৎনা সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেন, ফেৎনা ফ্যাসাদ হত্যার চেয়ে জঘন্য। তাহলে এখন উপায় কি? উপায় অবশ্যই আছে, তা হল সকল মিথ্যাকে পরিত্যাগ করে সত্যকে আঁকড়ে ধরা। মানুষের ধ্বংসের মূলে রয়েছে মিথ্যা পক্ষান্তরে কল্যাণের দিকে ধাবিত করে সত্য। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন,
‘সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা ডেকে আনে ধ্বংস’।
এখন আমাদের খুঁজতে হবে সত্য আঁকড়ে ধরার উপায় আর মিথ্যা ত্যাগ করার গুণ কিভাবে অর্জন করা যায়। এ দু’টো গুণ অর্জন করতে হলে শুধু তাকওয়াবান অর্থাৎ আল্লাহকে ভয়কারী হওয়াই একমাত্র শর্ত। যার মধ্যে তাকওয়া নেই সে নিজেকে শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করতে পারে না এবং অপরাপর কেউ তাকে শ্রেষ্ঠ বলা উচিত নয়। তাকওয়ার মাধ্যমেই যে ইহ-পর জীবনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন সম্ভব কুরআন ও হাদিসে এর বিশদ বিবরণ রয়েছে। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে,
‘আল্লাহর নিকট তোমাদের কুরবানীর রক্ত, গোশত কিছুই পৌঁছে না। পৌঁছে শুধু তোমাদের তাকওয়া বা আল্লাহভীতি।’ কুরবানী নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অতিমূল্যবান ইবাদত। কিন্তু আল্লাহর নিকট তাকওয়াহীন কুরবানীর কোন মূল্য নেই। তাকওয়াবান হওয়াই যে মানুষের মর্যাদার মাপকাঠি রাসূল (সাঃ) এর জমানার দিকে তাকালেই তা দেখা যায়। যে যত বেশি তাকওয়াবান ছিলেন সে তত বেশি সম্মানের অধিকারী ছিলেন।
কেউ সুন্দর চেহারা, বড় বংশের কিংবা বড় বীর হয়েও তাকওয়ার অভাবে মর্যাদাবান হতে পারেনি। হযরত বিলাল (রাঃ) কালো চেহারার মানুষ ও হাবসী গোলাম ছিলেন অথচ শুধু ঈমান গ্রহণ আর অধিক তাকওয়াবান হওয়ার সুবাদে তিনি আল্লাহর নিকট, রাসূল (সাঃ)-এর নিকট, বিশ্ব মুসলমানের কাছে মর্যাদার আসনে আসীন। আমার মত পাপী বান্দারা তার পায়ের ধূলোর সমান হতে পারলে জীবন সফল হতো। তাকওয়া যে মানুষের মর্যাদার নিয়ামক মহানবী (সাঃ)-এর বাণী দ্বারা তা প্রমাণিত। তিনি বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে সেই বেশি মর্যাদাবান যে বেশি তাকওয়ার অধিকারী।’ আসুন সকলে মিলে তাকওয়ার গুণ অর্জন করি এবং এর ভিত্তিতে মানুষকে মূল্যায়ন করি, যেন আল্লাহ আমাদের নাজাত দান করেন।

http://www.shobdoneer.com/shibly/6661

জান্নাত লাভ করার দোয়া

হযরত জিব্রাইল আলাইহিসসালাম এসে মহানবী(সা•) কে বললেন, না হে প্রিয়তম নবী! আপনি এ দোয়া লিখে নিন এবং আপনার উম্মতদের এ দোয়া পাঠে উদ্বুদ্ধ করুন। এই দোয়া পাঠ করলে কিয়ামতের দিন মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।

দোয়াটি এখানে দেয়া হল-
ওয়াল্লাহু আ’লা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির। আল্লাহুম্মা ইয়া ইন্নামাল বাসারী ওয়া ইয়া আজিমাল খাতারী। ওয়া ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতী। ওয়া ইয়া আজিজাল মান্নি ওয়া ইয়া মালিকি ইয়াওমুদ্দিন বিহাক্বী ইয়্যা কানা’বুদু ওয়া ইয়্যা কানাছতাঈন। বিরাহমাতিকা ইয়া রাহমানুর রাহিম। বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। ইলাহাল আলামীন ওয়া ইয়া খাইরান নাছিরিন। ওয়া ইয়া গিয়াসাল মুস্তাগিছিনা বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

সূত্রঃ গুণিয়াতুত তালিবিন থেকে

ইসলামী ডেস্ক

সুরা ইয়াসীন (বাংলা অনুবাদ)

রুকুঃ ৫, আয়াতঃ ৮৩, পারাঃ ২২ থেকে ২৩, মক্কায় অবতীর্ণ
অনুবাদটি ‘আলতাফসির.কম’ ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া হয়েছে।
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

১ ) ইয়া-সীন
২ ) প্রজ্ঞাময় কোরআনের কসম।
৩ ) নিশ্চয় আপনি প্রেরিত রসূলগণের একজন।
৪ ) সরল পথে প্রতিন্ঠিত।
৫ ) কোরআন পরাক্রমশালী পরম দয়ালু আল্লাহ্র তরফ থেকে অবতীর্ণ,
৬ ) যাতে আপনি এমন এক জাতিকে সতর্ক করেন, যাদের পূর্ব পুরুষগণকেও সতর্ক করা হয়নি। ফলে তারা গাফেল।
৭ ) তাদের অধিকাংশের জন্যে শাস্তির বিষয় অবধারিত হয়েছে। সুতরাং তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।
৮ ) আমি তাদের গর্দানে চিবুক পর্যন্ত বেড়ী পরিয়েছি। ফলে তাদের মস্তক উর্দ্ধমুখী হয়ে গেছে।
৯ ) আমি তাদের সামনে ও পিছনে প্রাচীর স্থাপন করেছি, অত:পর তাদেরকে আবৃত করে দিয়েছি, ফলে তারা দেখে না।
১০ ) আপনি তাদেরকে সতর্ক করুন বা না করুন, তাদের পক্ষে দুয়েই সমান; তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না।
১১ ) আপনি কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পারেন, যারা উপদেশ অনুসরণ করে এবং দয়াময় আল্লাহকে না দেখে ভয় করে। অতএব আপনি তাদেরকে সুসংবাদ দিয়ে দিন ক্ষমা ও সম্মানজনক পুরস্কারের।
১২ ) আমিই মৃতদেরকে জীবিত করি এবং তাদের কর্ম ও কীর্তিসমূহ লিপিবদ্ধ করি। আমি প্রত্যেক বস্তূ স্পষ্ট কিতাবে সংরক্ষিত রেখেছি।
১৩ ) আপনি তাদের কাছে সে জনপদের অধিবাসীদের দৃষ্টান্ত বর্ণনা করুন, যখন সেখানে রসূল আগমন করেছিলেন।
১৪ ) আমি তাদের নিকট দুজন রসূল প্রেরণ করেছিলাম, অত:পর ওরা তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করল। তখন আমি তাদেরকে শক্তিশালী করলাম তৃতীয় একজনের মাধ্যমে। তারা সবাই বলল, আমরা তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
১৫ ) তারা বলল, তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ, রহমান আল্লাহ্ কিছুই নাযিল করেননি। তোমরা কেবল মিথ্যাই বলে যাচ্ছ।
১৬ ) রাসূলগণ বলল, আমাদের পরওয়ারদেগার জানেন, আমরা অবশ্যই তোমাদের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।
১৭ ) পরিস্কারভাবে আল্লাহ্র বাণী পৌঁছে দেয়াই আমাদের দায়িত্ব।
১৮ ) তারা বলল, আমরা তোমাদেরকে অশুভ-অকল্যাণকর দেখছি। যদি তোমরা বিরত না হও, তবে অবশ্যই তোমাদেরকে প্রস্তর বর্ষণে হত্যা করব এবং আমাদের পক্ষ থেকে তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি স্পর্শ করবে।
১৯ ) রসূলগণ বলল, তোমাদের অকল্যাণ তোমাদের সাথেই! এটা কি এজন্যে যে, আমরা তোমাদেরকে সদুপদেশ দিয়েছি? বস্তূত: তোমরা সীমা লংঘনকারী সম্প্রদায় বৈ নও।
২০ ) অত:পর শহরের প্রান্তভাগ থেকে এক ব্যক্তি দৌড়ে এল। সে বলল, হে আমার সম্প্রদায় তোমরা রসূলগণের অনুসরণ কর।
২১ ) অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের কাছে কোন বিনিময় কামনা করে না, অথচ তারা সুপথ প্রাপ্ত।
২২ ) আমার কি হল যে, যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন এবং যার কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে, আমি তাঁর এবাদত করব না?
২৩ ) আমি কি তাঁর পরিবর্তে অন্যান্যদেরকে উপাস্যরূপে গ্রহণ করব? করুণাময় যদি আমাকে কষ্টে নিপতিত করতে চান, তবে তাদের সুপারিশ আমার কোনই কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে রক্ষাও করতে পারবে না।
২৪ ) এরূপ করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব।
২৫ ) আমি নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব আমার কাছ থেকে শুনে নাও।
২৬ ) তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে জানতে পারত-
২৭ ) যে আমার পরওয়ারদেগার আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
২৮ ) তারপর আমি তার সম্প্রদায়ের উপর আকাশ থেকে কোন বাহিনী অবতীর্ণ করিনি এবং আমি (বাহিনী) অবতরণকারীও না।
২৯ ) বস্তূত: এ ছিল এক মহানাদ। অত:পর সঙ্গে সঙ্গে সবাই স্তদ্ধ হয়ে গেল।
৩০ ) বান্দাদের জন্যে আক্ষেপ যে, তাদের কাছে এমন কোন রসূলই আগমন করেনি যাদের প্রতি তারা বিদ্রুপ করে না।
৩১ ) তারা কি প্রত্যক্ষ করে না, তাদের পূর্বে আমি কত সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছি যে, তারা তাদের মধ্যে আর ফিরে আসবে না।
৩২ ) ওদের সবাইকে সমবেত অবস্থায় আমার দরবারে উপস্থিত হতেই হবে।
৩৩ ) তাদের জন্যে একটি নিদর্শন মৃত পৃথিবী। আমি একে সঞ্জীবিত করি এবং তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, তারা তা থেকে ভক্ষণ করে।
৩৪ ) আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং প্রবাহিত করি তাতে নির্ঝরিণী।
৩৫ ) যাতে তারা তার ফল খায়। তাদের হাত একে সৃষ্টি করে না। অত:পর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না কেন?
৩৬ ) পবিত্র তিনি যিনি যমীন থেকে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে সৃষ্টি করেছেন।
৩৭ ) তাদের জন্যে এক নিদর্শন রাত্রি, আমি তা থেকে দিনকে অপসারিত করি, তখনই তারা অন্ধকারে থেকে যায়।
৩৮ ) সূর্য তার নির্দিষ্ট অবস্থানে আবর্তন করে। এটা পরাক্রমশালী, সর্বজ্ঞ, আল্লাহ্র নিয়ন্ত্রণ।
৩৯ ) চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মনযিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরূপ হয়ে যায়।
৪০ ) সূর্য নাগাল পেতে পারে না চন্দ্রের এবং রাত্রি অগ্রে চলে না দিনের প্রত্যেকেই আপন আপন কক্ষপথে সন্তরণ করে।
৪১ ) তাদের জন্যে একটি নিদর্শন এই যে, আমি তাদের সন্তান-সন্ততিকে বোঝাই নৌকায় আরোহণ করিয়েছি।
৪২ ) এবং তাদের জন্যে নৌকার অনুরূপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি, যাতে তারা আরোহণ করে।
৪৩ ) আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জিত করতে পারি, তখন তাদের জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না।
৪৪ ) কিন্তূ আমারই পক্ষ থেকে কৃপা এবং তাদেরকে কিছু কাল জীবনোপভোগ করার সুযোগ দেয়ার কারণে তা করি না।
৪৫ ) আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা সামনের আযাব ও পেছনের আযাবকে ভয় কর, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হয়, তখন তারা তা অগ্রাহ্য করে।
৪৬ ) যখনই তাদের পালনকর্তার নির্দেশাবলীর মধ্যে থেকে কোন নির্দেশ তাদের কাছে আসে, তখনই তারা তা থেকে মুখে ফিরিয়ে নেয়।
৪৭ ) যখন তাদেরকে বলা হয়, আল্লাহ্ তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা থেকে ব্যয় কর। তখন কাফেররা মুমিনগণকে বলে, ইচ্ছা করলেই আল্লাহ্ যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা তাকে কেন খাওয়াব? তোমরা তো স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে পতিত রয়েছ।
৪৮ ) তারা বলে, তোমরা সত্যবাদী হলে বল এই ওয়াদা কবে পূর্ণ হবে?
৪৯ ) তারা কেবল একটা ভয়াবহ শব্দের অপেক্ষা করছে, যা তাদেরকে আঘাত করবে তাদের পারস্পরিক বাকবিতন্ডাকালে।
৫০ ) তখন তারা ওছিয়ত করতেও সক্ষম হবে না। এবং তাদের পরিবার-পরিজনের কাছেও ফিরে যেতে পারবে না।
৫১ ) শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, তখনই তারা কবর থেকে তাদের পালনকর্তার দিকে ছুটে চলবে।
৫২ ) তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উখিত করল? রহমান আল্লাহ্ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন।
৫৩ ) এটা তো হবে কেবল এক মহানাদ। সে মুহুর্তেই তাদের সবাইকে আমার সামনে উপস্থিত করা হবে।
৫৪ ) আজকের দিনে কারও প্রতি জুলুম করা হবে না এবং তোমরা যা করবে কেবল তারই প্রতিদান পাবে।
৫৫ ) এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে।
৫৬ ) তারা এবং তাদের স্ত্রীরা উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে আসনে হেলান দিয়ে।
৫৭ ) সেখানে তাদের জন্যে থাকবে ফল-মূল এবং যা চাইবে।
৫৮ ) করুণাময় পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাদেরকে বলা হবে সালাম।
৫৯ ) হে অপরাধীরা! আজ তোমরা আলাদা হয়ে যাও।
৬০ ) হে বনী-আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে রাখিনি যে, শয়তানের এবাদত করো না, সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু?
৬১ ) এবং আমার এবাদত কর। এটাই সরল পথ।
৬২ ) শয়তান তোমাদের অনেক দলকে পথভ্রষ্ট করেছে। তবুও কি তোমরা বুঝনি?
৬৩ ) এই সে জাহান্নাম, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হতো।
৬৪ ) তোমাদের কুফরের কারণে আজ এতে প্রবেশ কর।
৬৫ ) আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব তাদের হাত আমার সাথে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।
৬৬ ) আমি ইচ্ছা করলে তাদের দৃষ্টি শক্তি বিলুপ্ত করে দিতে পারতাম, তখন তারা পথের দিকে দৌড়াতে চাইলে কেমন করে দেখতে পেত!
৬৭ ) আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে স্ব স্ব স্থানে আকার বিকৃত করতে পারতাম, ফলে তারা আগেও চলতে পারত না এবং পেছনেও ফিরে যেতে পারত না।
৬৮ ) আমি যাকে দীর্ঘ জীবন দান করি, তাকে সৃষ্টিগত পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেই। তবুও কি তারা বুঝে না?
৬৯ ) আমি রসূলকে কবিতা শিক্ষা দেইনি এবং তা তার জন্যে শোভনীয়ও নয়। এটা তো এক উপদেশ ও প্রকাশ্য কোরআন।
৭০ ) যাতে তিনি সতর্ক করেন জীবিতকে এবং যাতে কাফেরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
৭১ ) তারা কি দেখে না, তাদের জন্যে আমি আমার নিজ হাতের তৈরী বস্তূর দ্বারা চতুস্পদ জন্তূ সৃষ্টি করেছি, অত:পর তারাই এগুলোর মালিক।
৭২ ) আমি এগুলোকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি। ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে।
৭৩ ) তাদের জন্যে চতুস্পদ জন্তূর মধ্যে অনেক উপকারিতা ও পানীয় রয়েছে। তবুও কেন তারা শুকরিয়া আদায় করে না?
৭৪ ) তারা আল্লাহ্র পরিবর্তে অনেক উপাস্য গ্রহণ করেছে যাতে তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হতে পারে।
৭৫ ) অথচ এসব উপাস্য তাদেরকে সাহায্য করতে সক্ষম হবে না এবং এগুলো তাদের বাহিনী রূপে ধৃত হয়ে আসবে।
৭৬ ) অতএব তাদের কথা যেন আপনাকে দু:খিত না করে। আমি জানি যা তারা গোপনে করে এবং যা তারা প্রকাশ্যে করে।
৭৭ ) মানুষ কি দেখে না যে, আমি তাকে সৃষ্টি করেছি বীর্য থেকে? অত:পর তখনই সে হয়ে গেল প্রকাশ্য বাকবিতন্ডাকারী।
৭৮ ) সে আমার সম্পর্কে এক অদ্ভূত কথা বর্ণনা করে, অথচ সে নিজের সৃষ্টি ভুলে যায়। সে বলে কে জীবিত করবে অস্থিসমূহকে যখন সেগুলো পচে গলে যাবে?
৭৯ ) বলুন, যিনি প্রথমবার সেগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই জীবিত করবেন। তিনি সর্বপ্রকার সৃষ্টি সম্পর্কে সম্যক অবগত।
৮০ ) যিনি তোমাদের জন্যে সবুজ বৃক্ষ থেকে আগুন উৎপন্ন করেন। তখন তোমরা তা থেকে আগুন জ্বালাও।
৮১ ) যিনি নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তিনিই কি তাদের অনুরূপ সৃষ্টি করতে সক্ষম নন? হ্যাঁ তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ।
৮২ ) তিনি যখন কোন কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলে দেন, হও’ তখনই তা হয়ে যায়।
৮৩ ) অতএব পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁরই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।

http://bn.wikisource.org/wiki/%E0%A6%87%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%A8

আমাদের দশটি ব্যাধি

১.তুমি আল্লাহর অস্তিত্ত বিস্বাস কর কিন্তু তার নির্দেশ কে অনুসরন কর না।
২.তুমি বল, তুমি মোহাম্মদ (স) কে ভালবাসা কিন্তু তার সুন্নাহকে অনুসরন কর না।
৩.তুমি পবিত্র কোরআন পাঠ কর কিন্তু তা বাস্তবে প্রয়োগ কর না।
৪.তুমি আল্লাহর সকল নিয়ামত ভোগ কর কিন্তু তার প্রতি কৃতঞ্জতা প্রকাশ কর না।
৫.তুমি শয়তান কে শত্রু হিসবে স্বীকার কর কিন্তু তার বিরোদ্ধাচারন কর না।
৬.তুমি বেহেশতে প্রবেশ করতে চাও কিন্তু এর জন্য কোন চেষ্টা কর না।
৭.তুমি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হতে চাও না কিন্তু এর থেকে বাচার কোন চেষ্টাও কর না।
৮.তুমি বিস্বাস কর প্রত্যেক জিবন্ত সত্বাকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে কিন্তু এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত কর না।
৯.তুমি গুজব রটাও, অন্যের দোষত্রুটি সন্ধান কর কিন্তু নিজের দোষত্রুটি ভুলে যাও।
১০.তুমি মৃতদের কবর দাও কিন্তু এর থেকে কোন শিক্ষা গ্রহন কর না।

Link

http://www.rongmohol.com/topic535.html
http://www.somewhereinblog.net/blog/Saidurrahman/29077023