Archive for the ‘Hadees’ Category

প্রয়োজনীয় আরও ৪০ হাদিস পর্ব ৪

১।ডান হাতে খাও এবং যা নিকটে তা থেকে খাও। [ সহীহ বুখারী ]
২।যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে , সে যেনো নিজের মেহমানকে সম্মান -যত্ন করে । [ সহীহ বুখারী ]
৩।প্রতিটি ভালো কাজ একটি দান। [ সহীহ বুখারী ]
৪।মুসলমান সে , যে নিজের অনিষ্টকর ভাষা ও কর্ম থেকে মুসলমানদের নিরাপদ রাখে। [ সহীহ বুখারী ]
৫।মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী আর হত্য করা কুফরী। [ সহীহ বুখারী ]
৬।প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে অপর মুসলমানদের রক্ত , সম্পদ ও ইজ্জত সম্মানযোগ্য। [ সহীহ মুসলিম ]
৭।মুহাজির সে ,যে আল্লাহর নিষেধ করা কাজ ত্যাগ করে। [ সহীহ বুখারী ]
৮।সবর হলো আলো। [ সহীহ মুসলিম ]
৯।যে কাউকেও প্রতারণা করলো সে আমার লোক নয়। [ সহীহ মুসলিম ]
১০।তোমরা একে অপরের প্রতি হিংসা করোনা , ঘৃণা বিদ্বেষ কারো না এবং পরস্পর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়োনা । [ সহীহ মুসলিম ]
১১।রোগীর সেবা করো এবং ক্ষুধার্তকে খেতে দাও। [ সহীহ বুখারী ]
১২।আল্লাহ সকল কিছুর প্রতি দয়া ও সহানুভূতি দেখাবার নির্দেশ দিয়েছেন। [ সহীহ মুসলিম ]
১৩।আল্লাহ ততোক্ষণ বান্দাহর সাহায্য করেন , যতোক্ষণ সে তার ভাইয়ের সাহায্য করে। [ সহীহ মুসলিম ]
১৪।যে তার প্রভুকে স্মরণ করে , আর যে করেনা , তাদের উদাহরণ হলো জীবিত ও মৃতের মতো। [ সহীহ মুসলিম ]
১৫।যার মনে বিন্দু পরিমাণ অহংকার আছে , সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। [ সহীহ মুসলিম ]
১৬।তোমাদের মাঝে সালাম আদান প্রদানের ব্যাপক প্রচলন করো। [ সহীহ মুসলিম ]
১৭।যে মানুষের প্রতি দয়া করেনা , আল্লাহ তার প্রতি দয়া করেননা। [ সহীহ বুখারী ]
১৮।মনের প্রাচুর্যই আসল প্রাচুর্য । [ সহীহ বুখারী ]
১৯।প্রতিটি শোনা কথা বলে বেড়ানোটাই মিথ্যাবাদী হবার জন্যে যথেষ্ট। [ সহীহ মুসলিম ]
২০।শক্তিশালী সে , যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। [ সহীহ মুসলিম ]
২১।যার কর্ম তাকে ডুবায় , তার বংশ তাকে উঠাতে পারেনা। [ সহীহ মুসলিম ]
২২।যে ব্যক্তি একজন মুসলমানের দোষ গোপন করবে , আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন করবেন। [ সহীহ মুসলিম ]
২৩।প্রতিটি বান্দা কিয়ামতে তাই নিয়ে উঠবে , যা নিয়ে সে মরেছে । [ সহীহ মুসলিম ]
২৪।মতভেদ কারোনা। তোমাদের পূর্বে যারা মতভেদ করেছিল , তারা ধ্বংস হয়েছে। [ সহীহ বুখারী ]
২৫।গোটা সৃষ্টি আল্লাহর পরিবার। যে ব্যক্তি আল্লাহর পরিবারের জন্যে বেশী উপকারী , সে তাঁর কাছে বেশী প্রিয়। [ সহীহ মুসলিম ]
২৬।রসূলুল্লাহ (সাঃ) কাছে কিছু চাওয়া হয়েছে আর তিনি ‘ না’ বলেছেন , এমন কখনো হয়নি। [ জাবির : সহীহ বুখারী ]
২৭।আমি প্রেরিত হয়েছি রহমত হিসেবে। [ সহীহ মুসলিম ]
২৮।আমার উম্মতের উত্তম লোক হলো আমার সময়ের লোকেরা । [ সহীহ বুখারী ]
২৯।আমার সাহাবীদের গালি দিওনা। [ সহীহ বুখারী ]
৩০।আমি যদি আমার প্রভুকে ছাড়া আর কাউকেও বন্ধু বানাতাম , তবে অবশ্যি আবু বকরকে বন্ধু বানাতাম । [ সহীহ বুখারী ]
৩১।আমি আল্লাহর কাছে দিন একশ ’ বার ক্ষমা প্রার্থনা করি। [ সহীহ মুসলিম ]
৩২।বান্দাহ যখন অপরাধ স্বীকার করে এবং তাওবা করে , তখন আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন। [ সহীহ বুখারী ]
৩৩।হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে পানাহ চাই দুশ্চিন্তা থেকে , মনোকষ্ট থেকে , বার্ধক্য থেকে , আলস্য ও কাপুরুষতা থেকে এবং কৃপণতা ও ঋণের বোঝা থেকে । [ সহীহ বুখারী ]
৩৪।হে আল্লাহ ! আমার অন্তরে আল্লাহভীতি দাও এবং তাকে পরিশুদ্ধ করো। তুমিই তো তার উত্তম পরিশুদ্ধকারী । [ সহীহ মুসলিম ]
৩৫।হে আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে চাই হিদায়াত , আল্লাহভীতি , পবিত্র জীবন এবং প্রাচুর্য । [ সহীহ মুসলিম ]
৩৬। ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, রোগীকে দেখতে যাও এবং ক্রীতদাসকে মুক্ত কর। (বোখারী)
৩৭।সুখবর তার জন্যে , যে আমাকে দেখেছে। সাতবার সুখবর ঐ ব্যক্তির জন্যে যে আমাকে দেখেনি , অথচ আমার প্রতি ঈমান এনেছে। [ আহমদ ]
৩৮।সব আদম সন্তানই ভুল করে । তবে এদের মধ্যে উত্তম হলো তারা যারা ভুলের জন্যে তাওবা করে। [ তিরমিযী ]
৩৯।ওগো আল্লাহ ! আমাকে ক্ষমা করে দাও , আমার প্রতি দয়া করো , আমাকে সঠিক পথ দেখাও , আমাকে স্বস্তি দান করো এবং আমাকে জীবিকা দাও। [ সহীহ মুসলিম ]
৪০. কোন কিছুকে অশুভ অমঙ্গল বা কুলক্ষণ গণ্য করিও না-ঐরুপ ধারণা অলীক ভিত্তিহীন।
(বোখারী)

নেট হতে সংকলিত

প্রয়োজনীয় আরও ৪০ হাদিস পর্ব ৩

১।“যারা সুদ খায়, যারা সুদ দেয়, যারা সুদের সাক্ষী হয় এবং যারা সুদের আদান প্রদান লেখে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সকলকে অভিশাপ দিয়েছেন।” (বুখারীঃ ইবনে মাসউদ রাঃ)
২।বান্দাহর উপর আল্লাহর অধিকার হলো , তারা কেবল তাঁরই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তাঁর সাথে কোনো অংশীদার বানাবেনা । [ সহীহ বুখারী ]
৩।বলো : ‘ আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি ; অতপর এ কথার উপর অটল থাকো । [ সহীহ মুসলিম ]
৪।যে কেউ এই ঘোষণা দেবে : ‘ আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নাই আর মুহাম্মদ সাঃ আল্লাহর রসূল ’ – আল্লাহ তাকে জাহান্নামের জন্যে নিষিদ্ধ করে দেবেন।[ সহীহ বুখারী ]
৫।ঘুষদাতা এবং গ্রহীতা উভয়ের উপর আল্লাহর অভিশাপ।” (বুখারী : ইবনে উমর রাঃ)
৬।যে পূত পবিত্র থাকতে চায় , আল্লাহ তাকে পূত পবিত্র রাখেন। [ সহীহ বুখারী ]
৭।সালাত হলো ‘ নূর’ । [ সহীহ মুসলিম ]
৮।যখন রমযান শুরু হয় , তখন রহমতের দুয়ার খুলে দেয়া হয়। [ সহীহ বুখারী ]
৯।আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম। [ সহীহ বুখারী ]
১০।সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব । [ সহীহ মুসলিম ]
১১।সর্বোত্তম জীবন পদ্ধতি হচ্ছে মুহাম্মদ সাঃ প্রদর্শিত পদ্ধতি। [ সহীহ মুসলিম ]
১২।যে আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো। [ সহীহ বুখারী ]
১৩।যে আমাকে অমান্য করলো সে আল্লাহকে অমান্য করলো । [ সহীহ বুখারী ]
১৪।যে আমার সুন্নতকে ভালোবাসলো সে আমাকে ভালোবাসলো । [ সহীহ মুসলিম ]
১৫।যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হলো , সে আমার লোক নয়। [ সহীহ মুসলিম ]
১৬।কাজ নির্ভর করে নিয়্যতের উপর।[ সহীহ বুখারী ]
১৭।প্রত্যেক ব্যক্তি তার কাজের সেই ফলই পাবে,যা সে নিয়্যত করেছে।[সহীহ বুখারী ]
১৮।আল্লাহ তোমাদের চেহারা সুরত ও ধনসম্পদ দেখবেননা,তিনি দেখবেন তোমাদের অন্তর ও কাজ [সহীহ মুসলিম ]
১৯।তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ তারা,যাদের আচার ব্যবহার সবচেয়ে ভালো।[সহীহ বুখারী ]
২০।আল্লাহর নবীর চরিত্র ছিলো ঠিক কুরআনের মতো।[আয়েশা রাঃ সহীহ মুসলিম ]
২১।দীন খুব সহজ [সহীহ বুখারী ]
২২।দীন হলো – কল্যাণ কামনা । [ সহীহ মুসলিম ]
২৩।আল্লাহ যার ভালো চান, তাকে দীনের সঠিক জ্ঞান দান করেন। [ সহীহ বুখারী ]
২৪।দুনিয়া মুমিনের জন্যে কারাগার আর কাফিরের বেহেশত। [ সহীহ মুসলিম ]
২৫।দুনিয়াতে এমন ভাবে জীবন যাপন করো যেনো তুমি একজন গরীব কিংবা পথিক। [ সহীহ বুখারী ]
২৬।পৃথিবীতে মসজিদগুলোই আল্লাহর সবচাইতে প্রিয় জায়গা। [ সহীহ মুসলিম ]
২৭।আমার জন্যে গোটা পৃথিবীকেই সিজদার জায়গা এবং পবিত্র করে দেয়া হয়েছে। [ সহীহ বুখারী ]
২৮।যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ বানায় , আল্লাহ জান্নাতে তার জন্যে একটি ঘর বানায়। [ সহীহ বুখারী ]
২৯।কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনের ঘাড় সবচেয়ে লম্বা উঁচু হবে। [ সহীহ মুসলিম ]
৩০।নিজের জন্যে যা পছন্দ করো , অন্যদের জন্যেও তাই পছন্দ করবে , তবেই হতে পারবে মুমিন। [ সহীহ মুসলিম ]
৩১।তোমাদের কেউ মুমিন হবেনা , যতোক্ষণ সে নিজের জন্যে যা পছন্দ করে , তার ভাইয়ের জন্যেও তাই পছন্দ না করবে । [ সহীহ বুখারী ]
৩২।অনুমান ও কুধারণা করা থেকে বিরত থাকো , কেননা অনুমান হলো বড় মিথ্যা কথা। [ সহীহ বুখারী ]
৩৩।যুলম করা থেকে বিরত থাকা । কেননা , কিয়ামতের দিন যুলম অন্ধকারের রূপ নেবে। [ সহীহ মুসলিম ]
৩৪।যলুমের ফরিয়াদ থেকে আত্মরক্ষা করো। [ সহীহ বুখারী ]
৩৫।মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ভাইয়ের প্রতি যুলম করেনা এবং তাকে অপমানিতও করেনা। [ সহীহ মুসলিম ]
৩৬।মুমিন মুমিনের সাথে প্রাচীরের গাঁথুনির মতে মজবুত সম্পর্ক রাখে। [ সহীহ বুখারী ]
৩৭।যে নেতার আনুগত্য করলো, সে আমারই আনুগত্য করলো। [ সহীহ বুখারী ]
৩৮।যে নেতার অবাধ্য হলো সে আমার অবাধ্য হলো। [ সহীহ বুখারী ]
৩৯।কারো এমন হুকুম মানা যাবেনা , যাতে আল্লাহর হুকুম অমান্য করতে হয়। [ সহীহ মুসলিম ]
৪০।দান হচ্ছে একটি প্রমাণ। [ সহীহ মুসলিম ]
যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে , সে যেনো উত্তম কথা বলে। [ সহীহ বুখারী ]

শিষ্টাচার অহংকার ভাল ও মন্দ

শিষ্টাচার মানুষের শুধু প্রশংসনীয় গুণই নয়; ইহা একটি অত্যাবশ্যকীয় গুণও। শিশু-কিশোর , যুবক-বৃদ্ধ প্রতিটি মানুষের জীবন গড়ার পেছনে কোন অনুকরণীয় ব্যক্তির সান্নিধ্য একান্ত প্রয়োজন। নেক সুহবতের গুরুত্বের বিষয়ে হযরত আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলে করীম (সঃ) ইরশাদ করেন,- “সৎ ব্যক্তি ও অসৎ ব্যক্তির সান্নিধ্য আতরবাহী ও হাপরধারীর সংস্পর্শের মত। আতরবাহীর কাছ থেকে ক্রয় করে হোক আর এমনিতেই হোক তুমি সুগন্ধি লাভ করবে। পক্ষান্তরে হাপরধারীর কাছে গেলে , হয় তোমার কাপড় পুড়বে, না হয় দুর্গন্ধ পেতে হবে।” (মুসলিম , ২;৩৩০)
রাসূলে করীম (সঃ) ইরশাদ করেন,- “তোমরা তাকওয়ার মাধ্যমে নিজেদেরকে এবং পরিবার-পরিজনকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও এবং সন্তানদেরকে শিষ্টাচার শিক্ষা দাও।” (বুখারী শরীফ, ২/৭৩০)

আব্দুলাহ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেন: যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার রয়েছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবেনা। [উপস্থিতদের পক্ষ থেকে] একজন লোক বলে উঠল নিশ্চয় [যে কোন] ব্যক্তি ভালবাসে যে, তার সুন্দর পোষাক এবং সুন্দর জুতা থাকুক। তিনি (সাঃ) বলেন নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা সুন্দর [এবং] সুন্দরকে তিনি ভালবাসেন। অহংকার হচ্ছে- সত্যকে অস্বীকার করা এবং মানুষকে তুচ্ছজ্ঞান করা। (মুসলিম)
“নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মহান প্রতিপালক থেকে বর্ণনা করেন: তিনি বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা ভাল ও মন্দ উভয়টিকে লিপিবদ্ধ করেন। অতঃপর তিনি এভাবে বর্ণনা করেছেন : ‘যে ব্যক্তি কোন ভাল কাজ করার ইচ্ছা করে অথচ তা এখনও বাস্তবে পরিণত করেনি, তার জন্য আল্লাহ নিজের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ সওয়াব লিপিবদ্ধ করেন।” [বুখারী ৬০১০, মুসলিম ১৮৭ (২৪৬)]
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : “যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের (দোষ) গোপন রাখবে, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তার (দোষ) গোপন রাখবেন। ”[ বুখারী- ২২৬২, মুসলিম – ৪৬৭৭ ]
আমরা যেন শিষ্টাচার মেনে চলতে পারি, অহংকার ত্যাগ করতে পারি, ভাল ও মন্দ চিহ্নিত করতে পারি আর ফাইনালি অন্যের দোষ ঢেকে রাখার মত কঠিন কাজ করতে পারি
আল্লাহ সবাইকে সঠিক পথে চলার সুযোগ দান করুন।
আমিন।

তথ্যসূত্র -নেট

প্রয়োজনীয় আরও ৪০ হাদিস পর্ব ২

১ মুসলমান সে , যে নিজের অনিষ্টকর ভাষা ও কর্ম থেকে মুসলমানদের নিরাপদ রাখে। [ সহীহ বুখারী ]
২ মুসলমানকে গালি দেয়া ফাসেকী আর হত্য করা কুফরী। [ সহীহ বুখারী ]
৩ প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে অপর মুসলমানদের রক্ত , সম্পদ ও ইজ্জত সম্মানযোগ্য। [ সহীহ মুসলিম ]
৪ মুহাজির সে ,যে আল্লাহর নিষেধ করা কাজ ত্যাগ করে। [ সহীহ বুখারী ]
৫ ডান হাতে খাও এবং যা নিকটে তা থেকে খাও। [ সহীহ বুখারী ]
৬ যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে , সে যেনো নিজের মেহমানকে সম্মান -যত্ন করে । [ সহীহ বুখারী ]
৭ প্রতিটি ভালো কাজ একটি দান। [ সহীহ বুখারী ]
৮ যে আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে , সে যেনো উত্তম কথা বলে। [ সহীহ বুখারী ]
৯ তোমার ভাইয়ের দিকে হাসি মুখে তাকানো একটি দান ।[ তিরমিযী ]
১০ দান হচ্ছে একটি প্রমাণ। [ সহীহ মুসলিম ]
১১ যে নেতার আনুগত্য করলো, সে আমারই আনুগত্য করলো। [ সহীহ বুখারী ]
১২ যে নেতার অবাধ্য হলো সে আমার অবাধ্য হলো। [ সহীহ বুখারী ]
১৩ কারো এমন হুকুম মানা যাবেনা , যাতে আল্লাহর হুকুম অমান্য করতে হয়। [ সহীহ মুসলিম ]
১৪ মুসলমান মুসলমানের ভাই । [ সহীহ বুখারী ]
১৫ মুসলমান মুসলমানের ভাই। সে তার ভাইয়ের প্রতি যুলম করেনা এবং তাকে অপমানিতও করেনা। [ সহীহ মুসলিম ]
১৬ মুমিন মুমিনের সাথে প্রাচীরের গাঁথুনির মতে মজবুত সম্পর্ক রাখে। [ সহীহ বুখারী ]
১৭ অনুমান ও কুধারণা করা থেকে বিরত থাকো , কেননা অনুমান হলো বড় মিথ্যা কথা। [ সহীহ বুখারী ]
১৮ যুলম করা থেকে বিরত থাকা । কেননা , কিয়ামতের দিন যুলম অন্ধকারের রূপ নেবে। [ সহীহ মুসলিম ]
১৯ মযলুমের ফরিয়াদ থেকে আত্মরক্ষা করো। [ সহীহ বুখারী ]
২০ পৃথিবীতে মসজিদগুলোই আল্লাহর সবচাইতে প্রিয় জায়গা। [ সহীহ মুসলিম ]
২১ আমার জন্যে গোটা পৃথিবীকেই সিজদার জায়গা এবং পবিত্র করে দেয়া হয়েছে। [ সহীহ বুখারী ]
২২ যে আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ বানায় , আল্লাহ জান্নাতে তার জন্যে একটি ঘর বানায়। [ সহীহ বুখারী ]
২৩ কিয়ামতের দিন মুয়াজ্জিনের ঘাড় সবচেয়ে লম্বা উঁচু হবে। [ সহীহ মুসলিম ]
২৪ দীন খুব সহজ [সহীহ বুখারী ]
২৫ দীন হলো – কল্যাণ কামনা । [ সহীহ মুসলিম ]
২৬ আল্লাহ যার ভালো চান, তাকে দীনের সঠিক জ্ঞান দান করেন। [ সহীহ বুখারী ]
২৭ তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ তারা,যাদের আচার ব্যবহার সবচেয়ে ভালো।[সহীহ বুখারী ]
২৮ কাজ নির্ভর করে নিয়্যতের উপর।[ সহীহ বুখারী ]
২৯ প্রত্যেক ব্যক্তি তার কাজের সেই ফলই পাবে,যা সে নিয়্যত করেছে।[সহীহ বুখারী ]
৩০ আল্লাহ তোমাদের চেহারা সুরত ও ধনসম্পদ দেখবেননা,তিনি দেখবেন তোমাদের অন্তর ও কাজ [সহীহ মুসলিম ]
৩১ সর্বোত্তম জীবন পদ্ধতি হচ্ছে মুহাম্মদ সাঃ প্রদর্শিত পদ্ধতি। [ সহীহ মুসলিম ]
৩২ যে আমার আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো। [ সহীহ বুখারী ]
৩৩ যে আমাকে অমান্য করলো সে আল্লাহকে অমান্য করলো । [ সহীহ বুখারী ]
৩৪ যে আমার সুন্নতকে ভালোবাসলো সে আমাকে ভালোবাসলো । [ সহীহ মুসলিম ]
৩৫ যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হলো , সে আমার লোক নয়। [ সহীহ মুসলিম ]
৩৬ আল্লাহর পথে একটি সকাল কিংবা একটি সন্ধ্যা ব্যয় করা গোটা পৃথিবী এবং পৃথিবীর সমস্ত সম্পদের চেয়ে উত্তম। [ সহীহ বুখারী ]
৩৭ যে লড়ে যায় আল্লাহর বাণীকে বিজয়ী করার জন্যে সেই আল্লাহর পথে ( জিহাদ করে ) । [ সহীহ বুখারী ]
38 সালাত হলো ‘ নূর’ । [ সহীহ মুসলিম ]
৩৯ বান্দাহর উপর আল্লাহর অধিকার হলো , তারা কেবল তাঁরই আনুগত্য ও দাসত্ব করবে এবং তাঁর সাথে কোনো অংশীদার বানাবেনা । [ সহীহ বুখারী ]
৪০ বলো : ‘ আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছি ; অতপর এ কথার উপর অটল থাকো । [ সহীহ মুসলিম ]

Collected

মুসলিমদের ব্যাপারে হাদীস সমূহ

১। মুসলিম হচ্ছে ঐ ব্যক্তি যার কথা ও হাত হতে অন্য মুসলিমগণ চিন্তামুক্ত। (বুখারী ও মুসলিম)
২। মুসলিমদের গালি দেওয়া ফাসেকী কাজ, আর তাকে হত্যা করা কুফরির সমতুল্য। (বুখারী)
৩। আল্লাহ তাআলা সুদ গ্রহণকারী, সুদ দাতা, সাক্ষীদ্বয় এবং হিসাব রক্ষক সকলের উপর সমভাবে অভিশাপ দিয়েছেন। (মুসলিম)
৪। মুমিন কক্ষণও অতিরিক্ত দোষ ধরা বা লা’নত দেয়া বা ফাহেশা কাজ কিংবা কটুভাষী হতে পারে না। (মুসলিম)
৫। যে আমাদের(মুসলিমদের) বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করবে সে আমাদের কেউ নয়। (মুসলিম)
৬। যে ধোকা দেয়, সে আমাদের দলের নয়। (সহীহ, তিরমিযী)
৭। যার মধ্যে নম্রতা নেই, তার মধ্যে অনেক ভালই অনুপস্থিত থাকে। (মুসলিম)
৮। যে ব্যক্তি মানুষকে রাগান্বিত করে হলেও আল্লাহকে খুশী করতে তৎপর হয়, আল্লাহ তাকে মানুষের ক্ষতি হতে রক্ষা করেন। আর যে আল্লাহকে নারাজ(রাগান্বিত) করে মানুষকে খুশী করে আল্লাহ তাকে মানুষের হাতে সোপর্দ করে দেন। (সহীহ, তিরমিযী)
৯। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুষখোর ও ঘুষদাতা উভয়ের উপরই লা’নত করেছেন। (হাসান, তিরমিযী)
১০। পোশাকের যে অংশ টাখনুর নীচে ঝুলে থাকবে, তা জাহান্নামে প্রবেশ করবে। (বুখারী)
১১। যদি কেউ তার অন্য ভাইকে কাফির বলে, তবে তাদের মধ্যে যে দোষী তার উপরই তা নিপতিত হবে। (বুখারী)
১২। যে ব্যক্তি কোন বিদআতিকে আশ্রয় দিবে, তার উপর আল্লাহর লা’নত। (মুসলিম)

বিষয়গুলো মুসলিম ভাইদের জানা থাকা অতীব জরুরী এবং সে অনুযায়ী কর্মে তৎপর হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের হিফাজত করুন এবং আমাদেরকে তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দাহদের দলে শামিল করে নিন। আমীন।

Link- From the net … as i read it a long time back, sorry to 4got the original author