হযরত আবদুল মালিক ইবনে উমাইর (রাঃ) হইতে বর্ণিত রসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, সূরাহ ফাতিহা যে কোন রোগের ঔষধ স্বরূপ। (দারিমী)
হযরত আত্বা ইবনে আবিরাবাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন যে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনের প্রথম ভাগে সূরাহ ইয়াছীন পাঠ করবে তার যাবতীয় প্রয়োজন মিটিয়ে দেওয়া হবে। (দারিমী, মিশকাত, পৃঃ ১৮৯)
হযরত আবুহুরায়রাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন তোমরা তোমাদের ঘর গুলোকে কবরে পরিণত করোনা। অবশ্যই যে ঘরে সূরা বাকারাহ পড়া হয় সে ঘর থেকে শয়তান পালিয়ে যায়। (মুসলিম, মিশকাত-পৃঃ ১৮৪)
হযরত মা’কিল ইবনে ইয়াসার (রাঃ) বলেন রাসূলে করিম (সা.) ইরশাদ করেন যে ব্যক্তি শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সূরাহ ইয়াসীন পাঠ করে তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়। সুতারাং তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের নিকট সূরাহ ইয়াসীন পাঠ কর। (বায়হাকী, মিশকাত-পৃঃ ১৮৯)
হযরত আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হইতে বর্ণিত রাসূলে আকরাম (সা.) এরশাদ করেন কুরআন শরীফে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরাহ আছে যা তার পাঠকের জন্য ক্ষমাপ্রাপ্ত হওয়া পর্যনত্ম সূপারিশ করতে থাকে সূরাটি হল তাবারাকাল্লাজী। (সূরা মূল্ক) আহমদ, নাসায়ী, মিশকাত, পৃঃ১৮৭)
হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি জু’মার দিন সূরাহ কাহাফ পাঠ করবে তার ঈমানের নুর সেই জু’ময়া থেকে অপর জু’মআ পর্যনত্ম চমকাতে থাকবে। (বাইহাকী, মিশকাত, পৃঃ ১৮৯)
হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত রসূলে করীম (সা.) এরশাদ করেন যে, ব্যক্তি রাতে সূরাহ ওয়াকীয়াহ পাঠ করবে তাকে অভাব স্পর্শ করবেনা। (বাইহাকী, মিশকাত, পৃঃ ১৮৯)
উক্ত হাদীস গুলোর উপর আল্লাহ তায়ালা আমাদের আমল করার তৌফিক দান করুন। আমীন ॥
Collected