Permission taken from Source : http://prothom-aloblog.com/users/base/muslima/ মুসলিমা আপু
[মুসলমানদের জন্য কুরআন হচ্ছে ইহকাল ও পরকালের জন্য আল্লাহর মনোনীত সংবিধান। এই সংবিধানে বর্নিত বিধি-বিধান প্রত্যেক মুসলমানকে নিঃশর্তভাবে মেনে চলা আবশ্যক। অথচ আফসোসের বিষয় হল, আমরা অনেকেই এই কুরআন পড়ার পিছনে খুব অল্প সময়ই ব্যয় করি। আসুন না আমরা আমাদের অতি ব্যস্ততম জীবন থেকে কিছুটা সময় বের করে নিয়ে, প্রতিদিন এক পাতা হলেও কুরআন পড়ি ও তার অর্থ আত্বস্থ করার চেষ্টা করি।]
কোন মুসলিমের কাছে যদি প্রশ্ন করা হয় কুরআন কেন নাযিল হয়েছিল? অধিকাংশই বলবে নেকী লাভের জন্য। নেকী একটা দিক বটে কিন্তু মুলতঃ এই উদ্দেশ্যে কুরআন পাঠানো হয় নি। এর মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেনঃ
“এটি একটি বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি বরকত হিসাবে অবতীর্ন করেছি, যাতে মানুষ এর আয়াতসমূহ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করে এবং বুদ্ধিমানগণ যেন তা অনুধাবন করে।” (সুরা ছোয়াদ, ৩৮ঃ২৯)
অর্থাৎ কুরআন নাযিলের একটা কারন এর অর্থ বুঝা এবং অজ্ঞনতার অন্ধকার থেকে মানুষকে জ্ঞানের আলোতে নিয়ে আসা।
কুরআন নাযিলের আরো কয়েকটি কারন কুরআনে পাওয়া যায়। আল্লাহ বলেছেনঃ
সত্য –মিথ্যার মানদন্ড ও সতর্কীকরনঃ
“বড়ই বরকতময় সেই সত্তা, যে নিজ বান্দার (মুহাম্মদ (সাঃ)) প্রতি নাযিল করেছেন (সত্য মিথ্যার) মানদন্ড (কুরআন), যাতে করে তা বিশ্ববাসীর জন্য সতর্ককারীর ভূমিকা পালন করে।” (সুরা আল ফুরকান, ২৫ঃ১)
মতভেদের ক্ষেত্রে মীমাংসা, বিশ্বাসীদের জন্য পথনির্দেশ ও করুনাঃ
“আমি আপনার প্রতি এ কিতাব এজন্য নাযিল করেছি, যেন আপনি সরল পথ প্রদর্শনের জন্য তাদেরকে পরিষ্কার বর্ননা করে দেন, যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে এবং ঈমানদারদের ক্ষমা করার জন্য।” (সুরা আন নাহল, ১৬ঃ৬৪)
বিচারকার্যঃ
“নিশ্চয় আমি আপনার প্রতি সত্য কিতাব নাযিল করেছি, যাতে করে আল্লাহর দেখানো সঠিক বিধান অনুসারে আপনি মানুষের মধ্য বিচার-ফয়সালা করেন। আর আপনি বিশ্বাসঘাতক লোকদের পক্ষে ওকালতি করবেন না।” (সুরা আন নিসা, ৪ঃ১০৫)
কুরআন নাযিলের যে কারনেগুলো আল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন তা উপরের আয়াতগুলো থেকে জানা যায়। কারনগুলো হচ্ছেঃ
• মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসা
• সত্য ও মিথ্যার পার্থক্য করে দেয়া
• মানুষকে সর্তক করা
• চিন্তাশীলদের চিন্তার খোরাক জাগানো।
• সরল পথ দেখানোর জন্য
• আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী বিচার-ফয়সালা করার জন্য
চলবে…..